শাবান-শাওয়াল ১৪৪৪   ||   মার্চ-মে ২০২৩

মাসআলা-মাসায়েল

মাওলানা মুহাম্মাদ আনোয়ার হুসাইন

যাকাত  

মাসআলা : যাকাত ফরয হয় নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের উপর। কোনো ব্যক্তি যেদিন নেসাবের মালিক হবে তার কর্তব্য হলো, চান্দ্রবর্ষের হিসেবে সেদিনটি চিিহ্নত করে রাখা। কারণ যাকাতের বর্ষপূর্তি চান্দ্র বর্ষ হিসেবে ধর্তব্য হয়। নেসাবের মালিক হওয়ার দিন থেকে নিয়ে যেদিন চান্দ্রবর্ষ হিসেবে এক বছর পূর্ণ হবে সেদিন থেকে যাকাত আদায় করার বিধান আরোপিত হবে। একটি ইংরেজি ক্যালেন্ডারে বর্ষ যত দিনে পূর্ণ হয়, তার চেয়ে ১০/১১ দিন আগেই চান্দ্রবর্ষ পূর্ণ হয়ে যায়। এ কারণেই চান্দ্রবর্ষ ধরে যাকাত প্রদানের নিয়ম রয়েছে। যারা নিজেদের হিসাবের সুবিধার জন্য ইংরেজি বর্ষ ধরে হিসাব করতে চান তারা কোনো নির্ভরযোগ্য আলেম থেকে গণনাপদ্ধতি কী হবে জেনে নেবেন।

আলবাহরুর রায়েক ২/২৩০; রদ্দুল মুহতার ২/২৯৫

মাসআলা : অনেক মানুষ আছেন যারা যাকাতের নেসাবের কখন মালিক হয়েছেন খেয়াল রাখেন না। তাঁরা মনে করেন, যাকাত যখনই ফরয হোক যাকাত আদায়ের মাস হল রমযান মাস। ফলে অনেকের এমনও হয়, যাকাত ফরয হয়ে আছে রমযানেরও বহু আগে। কিন্তু তিনি মনে করে আছেন, রমযানে যাকাত আদায় করতে হয়। এ ধারণা সঠিক নয়। বরং যাকাত ফরয হওয়ার পরপরই আদায় শুরু করে দেওয়া উচিত। গ্রহণকারীদের প্রয়োজনে কিছু অংশ রমযানেও আদায় করা যেতে পারে।

তুহফাতুল ফুকাহা ১/২৭১; মাজমাউল আনহুর ১/৩০৮

মাসআলা : গৃহকর্মী, দারোয়ান, কর্মচারীযাদেরকে নিয়োগের সময় বেতনের পাশাপাশি ঈদ বোনাস দেওয়ার শর্ত থাকে, তাদেরকে যাকাতের টাকা থেকে ঈদ বোনাস দেয়া জায়েয নয়। এক্ষেত্রে যাকাতের টাকা থেকে ঈদ বোনাস দেয়া হলে ঐ টাকা যাকাত হিসেবে আদায় হবে না। পুনরায় তা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিকে আদায় করে দিতে হবে। তবে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কর্মচারিদের বোনাসের অতিরিক্ত যাকাতের টাকা দিতে অসুবিধা নেই।

রদ্দুল মুহতার ২/২৫৮; ফাতাওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ ৬/২৪৫

মাসআলা : পাওনা টাকা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের নিয়তে মাফ করে দেয়ার দ্বারা বা যাকাত হিসাবে কর্তন করে দেয়ার দ্বারা যাকাত আদায় হয় না। তাই যাকাত আদায়ের জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না। এ ব্যক্তিকে যাকাত দিতে চাইলে যাকাতের টাকা সরাসরি তার হাতে দিয়ে দিবে। অতঃপর তার থেকে ওই টাকা নিজ পাওনা বাবদ নিয়ে নিতে পারবে।

ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭০

মাসআলা : স্বর্ণ-রুপার অলংকার ব্যবহারের হলেও যাকাতের মধ্যে হিসাব করতে হবে। ব্যবহারের বলে যাকাতের হিসাব থেকে বাদ দেয়া যাবে না। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দুজন মহিলা আগমন করে। তাদের হাতে সোনার দুটি কঙ্কন ছিল। তিনি বললেন, তোমরা কি এর যাকাত আদায় কর?

তারা বলল, না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমাদের হাতে আল্লাহ তাআলা আগুনের দুটি কঙ্কন পরিয়ে দিবেন?

তারা বলল, না।

তিনি বললেন, তাহলে তোমরা এর যাকাত প্রদান করো।

জামে তিরমিযী, হাদীস ৬৩৭

মাসআলা : যাকাত শুধু মুসলমানকেই দেওয়া যাবে। অমুসলিমকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। তবে নফল দান সদকা অমুসলিমকেও করা যায়।

মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭১৬৬-৬৭

মাসআলা : আত্মীয়-স্বজন যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়েয; বরং উত্তম। যেমন : ভাই, বোন, ভাতিজা, ভাগনে, চাচা, মামা, ফুফু, খালা এবং অন্যান্য আত্মীয়কে যাকাত দেওয়া যাবে।

মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭১৬০-৬১, ৭১৬৪, ৭১৭১

মাসআলা : নিজ পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, পরদাদা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ যারা তার জন্মের উৎস, তাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। এমনিভাবে নিজের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং তাদের অধস্তনকে নিজ সম্পদের যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। এদেরকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।

কিতাবুল আছল ২/১২৪; রদ্দুল মুহতার ২/২৫৮

মাসআলা : যাকাত দেওয়ার সময় যাকাতের কথা উল্লেখ না করে মনে মনে যাকাতের নিয়ত করলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে। বরং আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে এটাই ভালো।

আলবাহরুর রায়েক ২/২১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৭১

 

রমযান 

মাসআলা : রমযান মাসে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় মহিলাদের জন্য জামাতে খতমে তারাবী পড়ার স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করা হয়। এতে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে এমনকি দূরদূরান্ত থেকেও মহিলারা তারাবী পড়ার জন্য সমবেত হয়। মনে রাখতে হবে, এতে বিশেষ কোনো ফযীলত নেই। এভাবে তারাবীর জন্য একত্রিত হওয়া শরীয়তের নির্দেশও নয়। বরং তা উত্তম তরীকার খেলাফ। হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী মহিলাদের জন্য অধিক ফযীলত হলো, ফরয নামায থেকে শুরু করে সর্বপ্রকার সুন্নত নফল নামায নিজ গৃহাভ্যন্তরে আদায় করা।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৭১; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ২/৪০৭

মাসআলা : রোযার সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে। অর্থাৎ যখন থেকে ফজর নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয় তখন থেকে রোযার সময়ও শুরু। এর আগ পর্যন্ত পানাহার ইত্যাদি করা যাবে। কোনো কোনো ব্যক্তির ধারণা সুবহে সাদিকের আগে পানাহার থেকে ফারেগ হওয়ার পর রোযার নিয়ত করে নেয়া হলে আর পানাহার করা যায় না। এ ধারণা ঠিক নয়। বরং রোযার নিয়ত করে নেয়ার পরও সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার করতে কোনো অসুবিধা নেই।

ফাতওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৫২; ফাতহুল কাদীর ২/২৩৪

মাসআলা : সূর্যাস্তের সাথে সাথে রোযা পূর্ণ হয়ে যায়। সূর্য ডুবে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর বিলম্ব না করে ইফতার করে নেয়া শরীয়তের নির্দেশ। হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

লোকেরা ততদিন কল্যাণের উপর থাকবে যতদিন তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৫৬

অপর হাদীসে তিনি ইরশাদ করেছেন,

لَا يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ، إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُونَ.

দ্বীন ততদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা জলদি ইফতার করবে। কেননা ইহুদি ও নাসারারা ইফতার অধিক বিলম্বে করে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৮১০

আমাদের সমাজে কোনো কোনো গোষ্ঠী এমন আছে যারা সূর্যাস্তের পর চারিদিকে রাতের অন্ধকার ছেঁয়ে যাওয়া পর্যন্ত ইফতার করা থেকে বিরত থাকে। তাদের ধারণা সূর্য ডোবার পর চারিদিক অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত রোযা পূর্ণ হয় না। এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। বরং তা ইহুদি-নাসারাদের কর্মসদৃশ।

মাসআলা : রোযা অবস্থায় ইনজেকশন গ্রহণ করা জায়েয আছে। ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন গ্রহণ করা হোক বা অন্য কোনো ওষুধ গ্রহণ করা হোক অথবা রক্ত গ্রহণ করা হোক এর দ্বারা রোযা ভাঙ্গবে না। তবে বিনা প্রয়োজনে গ্লুকোজ বা স্যালাইন জাতীয় ইঞ্জেকশন (যা খাদ্যের কাজ দেয়) ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।

আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫

মাসআলা : রোযা অবস্থায় ফরয গোসল করলে সেক্ষেত্রেও গোসলের ফরয আদায়ের জন্য কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি পৌঁছাতে হবে। তবে কুলি করা এবং নাকে পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন গলায় পানি পৌঁছে না যায়। এজন্য স্বাভাবিকভাবে কুলি করবে এবং নাকে পানি পৌঁছাবে। জোরে পানি টেনে নিবে না।

মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬৩৮০; তুহফাতুল ফুকাহা ১/১২; আদ্দুররুল মুখতার ১/১১৭

মাসআলা : ইফতারের সময় দুআ কবুল হয়, তাই এ সময়ে বেশি বেশি দুআ-ইস্তিগফার করতে থাকবে। এমন যেন না হয়, ইফতার প্রস্তুত করতে করতে এ সময়টি চলে যায়। এ সময় যেকোনো দুআ ইস্তিগফার করা যায়। অবশ্য হাদীস শরীফে বিশেষভাবে নিম্নোক্ত দুআটির কথা এসেছে

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ، أَنْ تَغْفِرَ لِي.

হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার সেই রহমতের উসীলায় প্রার্থনা করছি যা সকল বস্তুতে পরিবেষ্টিত, আপনি আমাকে মাফ করে দিন।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭৫৩

মাসআলা : ইফতার গ্রহণের সময় এ দুআ পড়বে

اللَهُمَّ لك صُمْتُ، وعلى رِزْقِكَ أفْطَرْتُ.

হে আল্লাহ, আমি আপনার জন্যই রোযা রেখেছিলাম এবং আপনার রিযিক দ্বারাই ইফতার করলাম। সুনানে আবী দাউদ, হাদীস ২৩৫৮

 

এতেকাফ

মাসআলা : রমযানের শেষ দশকে এতেকাফ করা সাওয়াবের কাজ। শেষ দশকের ইবাদত-বন্দেগীর প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেন। নিজে রাত্রি জাগরণ করতেন, পরিবারকেও জাগাতেন। তাই শেষ দশককে যথাযথ কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায় হল এতেকাফ। এতেকাফের বড় একটি উপকারিতা হল, শবে কদর লাভের সুবর্ণ সুযোগ। সুতরাং যার পক্ষে এতেকাফ করা সম্ভব তার এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।

সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২৪; উমদাতুল কারী ১১/১৩৯

মাসআলা : মহিলারা নিজ গৃহে এতেকাফ  করবে। মসজিদে এতেকাফ  করবে না। বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ., সুফিয়ান সাওরী রাহ. এমনটিই বলেছেন। এতেকাফের জন্য একটি কক্ষ নির্ধারণ করে নেবে। সেখানেই এতেকাফের নিয়তে পূর্ণ ১০ দিন কাটাবে। ওযু-ইস্তিঞ্জা ও পাক-পবিত্রতার প্রয়োজন ছাড়া ঐ কক্ষ থেকে বের হওয়া যাবে না। অবশ্য ছোট শিশুর পরিচর্যা বা রান্না-বান্না ও খাবার তৈরির জন্য সাহায্যকারী না থাকলে এসবের পেছনেও প্রয়োজন মাফিক সময় দেওয়া যাবে। এবং কাজ শেষ হওয়া মাত্রই এতেকাফের স্থানে ফিরে আসবে।

দেখুন : মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৮০২৩; আল মুহাল্লা বিল আসার, ৩/৪৩০; উমদাতুল কারী ১১/১৪২; মাবসূত সারাখসী ৩/১১৯

মাসআলা : মহিলাদের এতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হায়েয-নেফাস থেকে পাক-পবিত্র থাকা শর্ত। হায়েয-নেফাস অবস্থায় এতেকাফ সহীহ নয়। তাই কোনো মহিলার এতেকাফ অবস্থায় মাসিক শুরু হলে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে রোযাসহ একদিনের এতেকাফ কাযা করে নিতে হবে।

বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৭

মাসআলা : রমযানের শেষ দশকের এতেকাফ শুরু করার নিয়ম হল, যে কক্ষে এতেকাফ করবে সে কক্ষে ২০ রমযানের সূর্যাস্তের পূর্বেই এতেকাফের নিয়তে প্রবেশ করবে। যদি আগ থেকেই সে কক্ষে অবস্থান করে থাকে তাহলে সূর্যাস্তের পূর্বে এতেকাফের নিয়ত করে নেবে। এরপর সূর্যাস্তের সাথে সাথে এতেকাফের যাবতীয় বিধিবিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৪

মাসআলা : এতেকাফ অবস্থায় প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা জায়েয। এসময় কথা বলা নিষেধ এমন ধারণা ঠিক নয়। তবে গল্প-গুজব, বেহুদা কথাবার্তা, কাজকর্ম থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। আর গীবত-শেকায়েত, পরনিন্দা, গালমন্দএসব এমনিতেই বড় গুনাহের কাজ। আর রোযা ও এতেকাফ অবস্থায় তো অধিকতর ভয়াবহ বিষয়। তাই এহেন মন্দকর্ম থেকে বিরত থাকা জরুরি।

সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৯; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী ৭১৪ 

মাসআলা : যে স্ত্রীলোকের স্বামী আছে সে স্বামীর অনুমতি নিয়ে এতেকাফ করবে। স্বামীর অসম্মতি থাকলে এতেকাফ করতে পারবে না।

সহীহ বুখারী, হাদীস ২০৪১; মাআলিমুস সুনান, খাত্তাবী ২/১৩৯; তুহফাতুল ফুকাহা ১/৩৭৫

মাসআলা : যে কক্ষে এতেকাফ করবে সে কক্ষের ভেতর পায়চারী করতে পারবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া ঐ কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না।

মাবসূত সারাখসী ৩/১১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১১

মাসআলা : স্ত্রীলোক যে ঘরে এতেকাফ করবে সে ঘরেই সাহরী, ইফতার ও খানাপিনা করবে। খানা খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে যেতে পারবে না। এতেকাফের কক্ষে খানা পৌঁছে দেওয়ার মতো লোক পাওয়া না গেলে রান্নাঘর বা ডাইনিং রুম থেকে নিজে খানা আনতে পারবে। তবে খানা এতেকাফের কক্ষে এনেই খেতে হবে।

কিতাবুল আছল ২/১৮৩; মাবসূত সারাখসী ৩/১১৭

 

 

advertisement