শাবান-শাওয়াল ১৪৪৪   ||   মার্চ-মে ২০২৩

লিখতে জানা কতক নারী সাহাবী

মাওলানা ফয়জুল্লাহ মুনির

ইসলামের প্রথম যুগ। অজ্ঞতার সয়লাব কাটিয়ে ক্রমেই নারীরা দিনে দিনে জেগে উঠছেন। নিজেদের বিকশিত করছেন দিগ্বিজয়ী আলোর ছোঁয়ায়। জাহিলিয়াতের আঁধারে যেখানে সমাজে তাদের ছিল না কোনো স্বকীয়তা-সম্মান, সেখানে আজ তারাই পর্দার আড়াল নিয়ে পুরুষ সমাজেও স্বতন্ত্র। ঘরোয়া নিরাপত্তার আশ্রয়ে সভ্যতা বিনির্মাণে তারা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। বরং জ্ঞান বিতরণে তারা কাজ করছেন পুরুষের মতোই সমানতালে। যার দরুন শুধু কুতুবে সিত্তার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নারী সাহাবীদের বর্ণিত হাদীস সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। আলওয়াফা বিআসমায়িন নিসা ১ : ৪৩৯

তখনকার আরব সমাজে লেখাপড়ার প্রচলন ছিল না বললেই চলে। পুরুষদের মধ্যেও লিখতে পারা লোকের সংখ্যা ছিল কেবলই হাতেগোনা কয়েকজন। আর নারীদের কথা তো বলাই বাহুল্য। এজন্য রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা সংস্কারের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেন। বদর যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিপণ হিসেবে নির্ধারণ করে দেন লেখাপড়া শেখানোর মতো যুগান্তকারী প্রোগ্রাম। তবাকাতে ইবনে সাদ ২ : ১৬

যার ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। পুরো মুসলিম উম্মাহ যদি জীবনভর এই পদক্ষেপের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে থাকে, তবুও এই ঋণের ছিটেফোঁটাও আদায় হবে কি না সন্দেহ। কারণ, এই দ্বীন টিকে থাকার মূল যে দুটি উৎস, তথা কুরআন ও সুন্নাহ সংকলনের পথে এই পদক্ষেপই যে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

সেই সংস্কার আন্দোলনে নারীদের পরোক্ষ ভূমিকার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ভূমিকাও ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে তারা যেমন মায়ের ভূমিকায় শিশু সন্তানের মনন তৈরিতে ব্রতী ছিলেন, অপরদিকে শাগরিদদের হাদীসের দরসদানেও তাদের কোনো পিছুটান ছিল না। কিন্তু সেসব বাস্তবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তগুলো আর কতটুকুই বা ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে? বরং যা সংরক্ষিত হয়েছে তার চেয়েও হারিয়েছে বহুগুণ। নারী সাহাবীদের মধ্যে কতজন লিখতে জানতেন এই বিষয়টিও ঠিক তেমনই। ইতিহাসের ছত্রে ছত্রে যতটুকু সংরক্ষিত আছে, আমরা কেবল সেটুকুরই আলোচনা করতে পারি। তবে সেটাও স্বতন্ত্র একটি গবেষণার দাবি রাখে। সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই প্রবন্ধে আমরা অল্প কজন নারীর কথা আলোচনা করছি।

শিফা বিনতে আবদুল্লাহ রা.

কুরাইশ বংশীয়া এই নারী সাহাবী ছিলেন একই সাথে অনেক গুণের অধিকারী। যেমন ছিল তাঁর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা, তেমনই ছিল তার শিক্ষকসুলভ ব্যক্তিসত্তা। প্রথম যামানাতেই তিনি ইসলাম কবুল করেন এবং রাসূলের পবিত্র হাতে বায়আতের সৌভাগ্য লাভে ধন্য হন। যেসব নারী ঈমান রক্ষার্থে হিজরতের মতো মহান ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তিনিও ছিলেন তাদের একজন।

জাহেলী যুগ থেকেই তিনি লিখতে জানতেন। পাশাপাশি তিনি ঝাড়ফুঁক করে বিভিন্ন রোগের উপশম করতেও বেশ পারদর্শী ছিলেন। এজন্যই হয়তোবা তাঁর লায়লা নামটি পরিবর্তিত হয়ে একসময় তিনি শিফা নামে পরিচিতি লাভ করেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে হাফসা রা. এর শিক্ষিকা নির্ধারণ করে দেন। তাঁকে লেখা শেখানোর পাশাপাশি ঘা উপশমের রুকইয়াও শিক্ষা দিতে বলেন। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৪৪৯; সুনানে আবি দাউদ, হাদীস ৩৮৮৭; তবাকাতে ইবনে সাদ ৮ : ২১০   

উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা.

জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতী নারী হিসেবে সে যামানাতেই উম্মে সালামা রা. এর বেশ খ্যাতি ছিল। সর্বাবস্থায় তিনি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সঙ্গ দিতেন। বিপদ আপদে সুপরামর্শ দিয়ে রাসূলের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। উম্মাহাতুল মুমিনীনের মধ্যে তিনিই সর্বশেষ ইন্তেকাল করেন। হাবশা ও মদীনা উভয় জায়গায় তাঁর হিজরতের সৌভাগ্য হয়েছিল।

মদীনায় হিজরতের পর তিনি তাদের কাছে নিজেকে আবু উমাইয়া ইবনুল মুগীরার কন্যা বলে পরিচয় দিলে তারা ঠিক বিশ^াস করতে পারছিল না। পরবর্তী হজে¦র মৌসুম এলে কেউ কেউ তাঁকে পরামর্শ দিল, তুমি মক্কায় এ বিষয়ে নিজ পরিবারের লোকদের কাছে চিঠি লিখে পাঠাও। সে মতে তিনি চিঠি লিখে হজ¦ পালনকারীদের হাতে দিয়ে দিলেন। তারা ফিরে আসার পর যখন ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হল, তখন মদীনাবাসীর কাছে তাঁর মর্যাদা আরও বহুগুণ বেড়ে গেল।

উক্ত ঘটনা ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উম্মে সালামা রা. এর লেখার কথা এসেছে। তা সত্ত্বেও কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেছেন, তিনি কেবল পড়তে জানতেন। লিখতে জানতেন না। সহীহ ইবনে হিব্বান ৯ : ৩৭২; উসদুল গাবাহ ৫ : ৪৫৩; ফুতূহুল বুলদান পৃষ্ঠা : ৪৫৪

উম্মুল মুমিনীন হাফসা বিনতে উমর রা.

খলীফায়ে রাশেদ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. এর অত্যন্ত আদরের কন্যা ছিলেন তিনি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. ও তিনি ছিলেন একই ঘরের সন্তান। অত্যন্ত পরহেযগার, সতীসাধ্বী নারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন আয়েশা রা. এর সমকক্ষ। নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষিকার অধীনে তিনি লেখা শেখেন। বেশ ভালোই লিখতে জানতেন।

আমর ইবনে রাফে নামক এক গোলাম তাঁর জন্য কুরআন শরীফের একটি মুসহাফ লিখে দিচ্ছিল। তিনি তাকে বললেন, حٰفِظُوْا عَلَی الصَّلَوٰتِ وَالصَّلٰوۃِ الْوُسْطٰی وَقُوْمُوْا لِلهِ قٰنِتِیْنَ এই আয়াতে পৌঁছলে আমাকে খবর দিবে। সে হিসেবে উক্ত আয়াত লেখার সময় তাঁকে জানানো হল। তখন তিনি নিজ হাতে وَالصَّلٰوۃِ الْوُسْطٰی এর পর  وصلاة العصر শব্দটি লিখে দেন।

ঘটনাটির কোনো কোনো বর্ণনায় যদিও তাঁর নিজ হাতে লিখে দেওয়ার কথা আসেনি, তবে তিনি যে লিখতে জানতেন, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস ২২০২; ফুতূহুল বুলদান, পৃষ্ঠা : ৪৫৪; সিয়ারু আলামিন নুবালা ২: ২২৭

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা রা.

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশি মহব্বত লাভ করেছিলেন যেই ভাগ্যবতী নারী, তাঁর নাম আয়েশা বিনতে আবি বকর রা.। বয়সের স্বল্পতা সত্ত্বেও রাসূলের সাহচর্যের বরকতে তার ছিল অগাধ জ্ঞান ও অসাধারণ সব যোগ্যতা। মুসনাদে বাকী ইবনে মাখলাদ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী তার এককভাবে বর্ণিত হাদীস সংখ্যাই ছিল ২ হাজার ২শ ১০টি। আসমাউস সাহাবা, পৃষ্ঠা : ৩২

একবার মুয়াবিয়া রা. আয়েশা রা. এর কাছে কিছু হাদীস লিখে পাঠানোর অনুরোধ করেন। তিনি প্রতিউত্তরে বেশ কয়েকটি চমৎকার উপদেশমূলক হাদীস লিখে পাঠান। এর মধ্যে একটি হাদীস ছিল এরকম

যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের বিপরীত কাজ করে, (দুনিয়াতে) প্রশংসাকারীগণ তার নিন্দুকে পরিণত হয়। মুসনাদুল হুমাইদি, হাদীস ২৬৪

আরেকবার মুয়াবিয়া রা. কে অসিয়ত করে লিখেছিলেন, আমি আপনাকে তাকওয়ার উপদেশ দিচ্ছি। কারণ, যখন আপনি আল্লাহকে ভয় করবেন, তখন আপনার পক্ষে মানুষের জন্য তিনিই যথেষ্ট। কিন্তু যদি আপনি মানুষের ভয় করেন, তবে তারা আল্লাহর শাস্তির মোকাবেলায় কোনোই কাজে আসবে না। অতএব আল্লাহকে ভয় করাই একান্ত কর্তব্য। মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ৩৬৮৬৭

এছাড়াও কোনো কোনো বর্ণনায় যিয়াদ ইবনে আবি সুফিয়ানের কাছে তাঁর পত্র লেখার কথা এসেছে। মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ৩১১৮২

সুবাইআহ বিনতে হারেস আলআসলামিয়্যাহ রা.

তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ বদরী সাহাবী সাদ ইবনে খাওলা রা. এর সহধর্মিনী। বিদায় হজে¦র সময় এই সাহাবীও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হজ¦ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেখানেই তাঁর ইন্তেকাল হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ওফাতে খুবই মর্মাহত হন।

এদিকে সুবাইআহ রা. ছিলেন গর্ভবতী। স্বামীর ইন্তেকালের কিছুদিন পরই তিনি সন্তান প্রসব করেন। এই প্রসবের দ্বারাই তাঁর ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে ধারণা করে তিনি নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কিন্তু তার এক পরিচিতজন তাকে বললেন, তোমার তো উচিত ছিল দীর্ঘতম ইদ্দত তথা ৪ মাস ১০ দিন অপেক্ষা করা। এই কথা শুনে তিনি খুবই পেরেশান হয়ে পড়লেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আমার তো এই ব্যাপার হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অসুবিধা নেই। সৎ কোনো স্বামী মিলে গেলে তুমি তার কাছে বিয়ে বসতে পার। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৪

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়ার জন্য তাঁর হাদীসটি ছিল সকলেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ অসংখ্য হাদীসগ্রন্থে তাঁর এই ঘটনা উদ্ধৃত হয়েছে। অনেকেই তাঁর কাছ থেকে এই হাদীসটি শুনতে আসতেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী মাসরুক ইবনুল আজদা এবং আমর ইবনে উতবা রাহ. এই হাদীসের জন্য তাঁর কাছে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখিতভাবে তাদেরকে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২০২৮

উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা রা.

অসীম সাহসের অধিকারী ছিলেন এই নারী সাহাবী। তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশীয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরতের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। হিজরতের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে একাই মদীনার পথে পাড়ি জমান। সেটা ছিল হুদায়বিয়ার সন্ধিপরবর্তী ঘটনা। এদিকে তাঁর বাবা-মা তাঁর দুই ভাইকে মদীনায় পাঠিয়ে দেন তাঁকে ফেরত নিয়ে আসার জন্য। তখন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এই আয়াত নাযিল হয়

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا جَآءَکُمُ الۡمُؤۡمِنٰتُ مُهٰجِرٰتٍ فَامۡتَحِنُوۡهُنَّ ؕ اَللّٰهُ اَعۡلَمُ بِاِیۡمَانِهِنَّ ۚ فَاِنۡ عَلِمۡتُمُوۡهُنَّ مُؤۡمِنٰتٍ فَلَا تَرۡجِعُوۡهُنَّ اِلَی الۡکُفَّارِ .

হে ঈমানদারগণ! মুমিন নারীরা তোমাদের কাছে হিজরত করে এলে তাদের পরীক্ষা করো। আল্লাহই তাদের ঈমান সম্পর্কে অধিক অবগত। অতএব যদি তোমরা তাদেরকে মুমিন হিসেবে পাও, তাহলে তাদেরকে আর কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। সূরা মুমতাহিনা, (৬০) : ১০

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মতে তাঁকে পরীক্ষা করেন। তিনি ভালোভাবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ফলে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাঁকে বায়আত করে নেন। ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে এই নারী সাহাবীও লিখতে জানতেন। আলইসতিআব ৪ : ১৯৫৩; ফুতূহুল বুলদান, পৃষ্ঠা : ৪৫৪

স্বভাবগত প্রখর স্মৃতিশক্তির দরুন আরবরা লেখার তেমন প্রয়োজনই বোধ করত না। বরং অনেকেই লিখে রাখাটাকে নিজের জন্য লজ্জাজনক ও দোষণীয়ও ভাবত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা সংস্কারের প্রথম ধাপেই এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে চাইলেন। চিরন্তন ঐশী বাণী লিখে রাখার জন্য গড়ে তুললেন একদল সুপ্রশিক্ষিত লিখিয়ে পুরুষ। সিরাতের কিতাবাদিতে যাঁদের নাম বরাবরই আলোচিত হয়েছে।

উল্লেখিত নারী সাহাবীদের তালিকার দিকে নযর বুলালেও এ কথা সহজেই অনুমেয়, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকেও এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। সে অনুপাতে তাদের আগ্রহ, উদ্দীপনা ও প্রত্যক্ষ ভূমিকাও ছিল প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে জাহেলী যুগের নিপীড়িত-নিগৃহীত সেই নারীদের মাত্র কদিনের ব্যবধানে, নিরক্ষরতার অন্ধকার কাটিয়ে এভাবে সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করাটা সত্যিই বিষ্ময়কর।

সবশেষে একটাই প্রত্যাশা, পুরনো কলমের খসখসে প্রতিধ্বনি যেন আমাদের নারীদের মাঝেও প্রেরণা তৈরি করে। তারাও যেন উদ্যমী হয়ে লিখনীর মাধ্যমে খেদমত আঞ্জাম দিতে সচেষ্ট হোন।

 

 

advertisement